প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুতের কারণে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছে সরকার। দুই দিনের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বুধবার (০৭ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের পাশাপাশি আমেরিকা জাহাজের ওপরও স্যাংশন দিয়ে বসে আছে। এর ফলে প্রত্যেকটা দেশেই মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে।
বাংলাদেশ যখন করোনাভাইরাস সংকট কাটিয়ে উঠে অর্থনীনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ে বলে শেখ হাসিনা। একে তিনি বাংলাদেশে অগ্রগতিতে বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, তিনটা বছর চলাচল একেবারে বন্ধ, অর্থনীতি স্থবির, উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালন ব্যয়, পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। আর এরপর আসলো রাশিয়া-উইক্রেন যুদ্ধ। স্যাংশন অ্যান্টি স্যাংশন, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেল।
সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম এমন বেড়ে গেছে, সেটা কেনা, আনা, সেটা পরিবহন করা; আবার এই জাহাজে আসল কেন, সেটা আসতে দেবে না, ভিড়তে দেবে না; ওই জাহাজে আসলো কেন সেটা ভিড়তে দেবে না। খালি দেশের ওপর স্যাংশন না, জাহাজের ওপরও স্যাংশন দিয়ে বসে আছে আমেরিকা। যার ফলে প্রত্যেকটা দেশে আজ মুদ্রাস্ফীতি।
‘আপনারা জানেন যে ইউরোপ, আমেরিকা, লন্ডন সব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে না। শীতের সময় হিটার ব্যবহার করতে পারে না। একটা ঘরে সমস্ত পরিবারকে থাকতে হয়। পানি ব্যবহার করা সীমিত করে দিয়েছে। আমাদের তো এখনও গাড়ি ধোয়, বাগানে পানি দেয়, যথেচ্ছাচার ব্যবহার করে। কিন্তু সেখানে করতে পারবে না,’ যোগ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বাজারে গেলে তিনটার বেশি টম্যাটো কিনতে পারবে না। ৬টার বেশি ডিম কিনতে পারবে না, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে পারবে না। সেই অবস্থা বিরাজমান সারা বিশ্বব্যাপী। তারপরও আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে পেরেছি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন— আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শাহজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।